জামেয়া ইসলামিয়া শামসুল উলুম কওমী মাদরাসা পরিচালিত হিফয এবং নাযেরা শাখাসমূহের জন্য
আমাদের বিশেষত্ব
এক বছরে মাছনুন দোয়াসহ তাজবীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ কুরআন তেলওয়াত প্রশিক্ষণ।
তিন বছরে সম্পূর্ণ কুরআন হিফযের ব্যবস্থা।
হিফযের পাশা-পাশি বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও আরবি বিষয়ে জ্ঞান প্রদান।
তাজবীদ ভিত্তিক বিশুদ্ধ ও মার্জিত উচ্চারণ।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হিফয প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
প্রবাসী অভিভাবকগণের সন্তানদের দায়িত্বগ্রহণ ।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হাফেয ও ক্বারীগণ কর্তৃক সরাসরি হদর (দ্রুত পড়া) প্রশিক্ষণ।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা দান।
মাসিক হুসনে সওত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা।
————————————————————————————–
আমাদের বৈশিষ্ট্য
মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশ।
ইসলাম ও আধুনিকতার সমন্বয়।
আধুনিক হোস্টেল ব্যবস্থাপনা।
অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত।
সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সু-ব্যবস্থা।
সকল শ্রেণিতে কম্পিউটার শিক্ষা।
নৈতিক মানোন্ননে বিশেষ কার্যক্রম।
বিনোদনের সু-ব্যবস্থা।
প্রতিদিন ৩ বার স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত খাবার পরিবেশন।
আরবি ও ইংরেজি ভাষায় কথোপকথনের যোগ্যতা অর্জন।
নিজস্ব চিকিৎসকের মাধ্যমে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরিচর্যা ।
শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বিশেষ গুরুত্বারোপ।
শিশুদের সহজ সরল উপায়ে শিক্ষাদান।
উন্নত সাউন্ড সিস্টেম এর মাধ্যমে হদর শ্রবণ।
শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার সু-ব্যবস্থা।
ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়নের জন্য উন্মুক্ত পাঠাগার।
মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ও পুরস্কারের ব্যবস্থা।
জামা-কাপড় ধোয়া ও ইস্ত্রি করার জন্য সার্বক্ষণিক লন্ড্রি সার্ভিস।
—————————————————————————————-
হিফয শাখার বিশেষ কার্যক্রম
সাপ্তাহিক সবিনা।
মাসিক M.T. পরীক্ষা।
নিয়মিত প্রশ্ন ও মাশ্ক্ব করানো।
মাসিক হিফয প্রতিযোগিতা ও বিজয়ী ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক হিফয ও ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
আন্তর্জাতিক মানের হাফেয দ্বারা হদর প্রশিক্ষণ।
তাহাজ্জুদ নামাযে খতমে কুরআন।
হিফয প্রতিযোগিতা
জামেয়া ইসলামিয়া শামসুল উলুম কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে দক্ষ হাফেয হিসেবে গড়ে তোলার জন্য হিফয প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গ্রুপ ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অধিকারীকে পুরস্কৃত করা।
সবিনা প্রতিযোগিতা
সাপ্তাহিক সবিনা শেষে সবিনার পঠিত পাড়া থেকে প্রশ্ন করা হয় এবং বিজয়ীদেরকে পুস্কার প্রদান করা হয়।
——————————————————————————————–
আবাসিক শিক্ষার্থীর নিয়মাবলী
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামায়াতের সাথে পড়তে হবে।
নিজের সীট, জামা, কাপড় গুছিয়ে ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অনুমতি ছাড়া একে অন্যের সিটে যেতে পারবে না।
পড়া-লেখা, ঘুম, খাওয়া ইত্যাদির সময় ডিস্টার্ব করা অপরাধ।
যথাসময়ে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
নিজের কাছে টাকা রাখা যাবে না। অভিভাবক সন্তানকে টাকা পয়সা দিবেন না।
কোন ধরনের মোবাইল ও খেলার সরঞ্জামাদি রাখা যাবে না।
অফিস এবং শিক্ষকদের রুমে প্রবেশের সময় অনুমতি নিতে হবে।
কোন সমস্যা হলে শাখা শিক্ষককে অথবা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
মাদরাসা ত্যাগ এবং মাাদরাসায় প্রবেশের সময় অফিসে দেখা ও বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট করতে হবে।
আবাসিক ছাত্রদের সিট বিন্যাস কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবেন। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের কোন এখতিয়ার থাকবে না।
কোন ছাত্রের নৈতিক চরিত্রের (অশ্লীল কথাবার্তা বা আচার-আচরণ বা চুরি) অবনতির জন্য তাকে বহিষ্কার করা হবে।
কোন ছাত্র কর্তৃপক্ষ/শিক্ষক/ সিনিয়র ছাত্র অথবা অন্য কারো সাথে অসদাচরণ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
ভর্তি পরবর্তী সময়ে কোন ছাত্রের ছোঁয়াচে অথবা বিকৃত রোগ (যা অন্যদের জন্য ক্ষতিকর) ধরা পড়লে তার ভর্তি সাময়িক/ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে।
—————————————————————————————————–
অনাবাসিক শিক্ষার্থীর নিয়মাবলী
অভিভাবকগণ যথাসময়ে মাদরাসায় শিক্ষার্থীর আসা-যাওয়া নিশ্চিত করবেন।
শিক্ষার্থীকে মাদরাসা কর্তৃক নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে আসতে হবে।
মাদরাসা বন্ধকালীন অভিভাবক নিজ দায়িত্বে বাসায় পড়া-লেখার ব্যবস্থা করাবেন।
কোন সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
কোন কারণে অনুপস্থিত থাকলে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে।
বাসায় শিক্ষার্থীর জন্য ইসলামী পরিবেশের ব্যবস্থা করবেন।
শিক্ষাথীকে বাসা থেকে মাদরাসায় আনা নেয়ার ব্যবস্থা অভিভাবক করবেন।
অভিভাবক সমাবেশে হাজির থাকবেন ও গরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করবেন।
নিয়মিত নোটিশ বোর্ড পড়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিবেন।
—————————————————————————————-
ভর্তির নিয়মাবলী
যে শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়
হিফযুল কুরআনসহ ৭ম শ্রেণি(জামাত) পর্যন্ত।
আবাসিক, অনাবাসিক, ডে-কেয়ার
ভর্তি পরীক্ষার ধরন
ক. লিখিত পরীক্ষা
খ. মৌখিক পরীক্ষা
ভর্তি প্রক্রিয়া
৪০০ টাকার বিনিময়ে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন ও অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
ভর্তি ফরমের সাথে ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ও ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি এবং অভিভাবকদের ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত নির্ধারিত ভর্তির ফরমে ভর্তির জন্য মনোনীত ছাত্রের অভিভাবক ছাত্রের সকল তথ্য প্রদান করবেন। কোন তথ্য ভুল বা গোপন করতে পারবেন না।
ছাত্রের মূল অভিভাবক ছাড়াও অনুর্ধ্ব দুইজন অভিভাবক প্রতিনিধি ছাত্রের দেখা-শুনার জন্য তাদের ঠিকানা ভর্তি ফরমে উল্লেখ করবেন।
প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
—————————————————————————————
প্রতিষ্ঠান যা সরবরাহ করবে (আবাসিক ছাত্রদের জন্য)
তোষক ১টি # বালিশ ১টি # মশারি ১টি # লকারসহ ওয়ারড্রপ ১টি # প্লেট ১টি # গ্লাস ১টি।
উল্লেখ্য যে, শার্ট- প্যান্ট ও অশালীন পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করা যাবে না এবং টাখনুর নিচে পায়জামা/লুঙ্গি পরিধান করা যাবে না।
অভিভাবক যা সরবরাহ করবেন
০১। পাঞ্জাবি ৩ টি ও সেলোয়ার ৩ টি ।
০২। সাদা জুব্বা ১ টি
০৩। লুঙ্গি ২ টি ।
০৪। টি শার্ট ২ টি
০৫। সাদা পাতলা গেঞ্জি (হাতা ওয়ালা) ২ টি ।
০৬। সাদা জুতা (সু) মোজাসহ ১ জোড়া ।
০৭। স্কুলব্যাগ ১ টি ।
০৮। টুপি ২ টি ।
০৯। বড় গামছা, তোয়ালে (মিডিয়াম সাইজ) ১ টি ।
১০। চামড়ার স্যান্ডেল ১ জোড়া
১১। স্পঞ্জের স্যান্ডেল ১ জোড়া
১২। বালিশের ওয়ার ২ টি ।
১৩। কাঁথা ১ টি ।
১৪। বিছানার চাদর ২ টি ।
১৫। সুয়েটার (শীতকালীন সময়ের জন্য) ১ টি।
১৬। কম্বল/লেপ (শীতকালীন সময়ের জন্য) ১ টি।
১৭। নেইল কাটার, টুথ ব্রাশ, টুথ পেস্ট, সাবান প্রয়োজনমত।
১৮। টয়লেট টিস্যু প্রয়োজনমত।
——————————————————————————————-
ছাড়পত্র সংক্রান্ত নীতিমালা
১। কোন ছাত্র মাদরাসার আইন-শৃংখলা পরিপন্থী কোন কাজ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
২। কোন ছাত্র প্রযোজ্য বিধি-বিধান ভঙ্গ করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
৩। কোন ছাত্র মাদরাসায় দ্বীনি পরিবেশ বজায় রাখতে অপারগ হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
৪। কোন ছাত্র পরীক্ষায় অসদোপায় অবলম্বন করলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
৫। কোন ছাত্র পরীক্ষায় বারবার রেজাল্ট খারাপ করলে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়া হবে।
৬। কোন ছাত্র বিনা কারণে অথবা বিনা অনুমতিতে ১ মাস মাদরাসার হোস্টেলে অনুপস্থিত থাকলে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।
————————————————————————————————
শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের নিয়মাবলী
১। কোন ছাত্রের ভর্তিকার্য সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের ইচ্ছা করলে ভর্তি বাবদ প্রদেয় অর্থের কোন টাকা ফেরৎ পাবে না। এক্ষেত্রে চলতি মাসের মাসিক ফি পরিশোধ করে ছাত্রের অভিভাবক টিসি গ্রহণ করবেন। তবে অগ্রিম কোন টাকা জমা থাকলে তা ফেরৎ পাবেন।
২। কোন ছাত্র সেশনের ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে চাইলে কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনপূর্বক যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে টিসি গ্রহণ করতে পারবে।
৩। কোন ছাত্র সেশনের ৯ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর চলে যাওয়ার ইচ্ছা করলে তাকে সেশনের বাকী তিন মাসের সকল পাওনা পরিশোধপূর্বক কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনপত্র দাখিল করে টিসি গ্রহণ করতে পারবে।
৪। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার অপরাধে কোন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হলে তার ক্ষেত্রেও এ নিয়ম সমভাবে প্রযোজ্য।
৫। কোন ছাত্র কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতসারে মাদরাসা থেকে চলে গেলে এর দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান বহন করবে না।
—————————————————————————————————–
আবাসিক শিক্ষার্থীর সাথে সাক্ষাতের নিয়ম
প্রতি জুমাবার সকাল দশটা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করতে পারবে ।
সাক্ষাত প্রার্থীকে নির্ধারিত খাতায় নিজ নাম, শিক্ষার্থীর নাম, শ্রেণি, ব্যাচ নং ও শিক্ষার্থীর সাথে সর্ম্পকের ধরন উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিদিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত ছাত্রদের সাথে সাক্ষাত ও ফোনে কথা বলা যাবে।
রাতের বেলা (মাগরিবের পর) কোন ক্রমে সাক্ষাত করা যাবে না।
ভর্তি ফরমে উল্লেখিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ সাক্ষাত, বাসায় নেয়া বা ফোন করতে পারবে না।
মহিলা অভিভাবক অবশ্যই হিজাব ও শালীনতার সহিত সাক্ষাত করতে আসবেন।
কোন অভিভাবক প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি ব্যতীত ছাত্রদের আবাসিক এরিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
অনির্ধারিত ছুটিতে ছাত্রকে বাসায় নিতে হলে আগেই ফোনে জানাতে হবে, অন্যথায় ছুটি পাবে না।
ঘন-ঘন ছাত্রকে বাসায় নিয়ে যাওয়া ও ফোন করা ছাত্রের পড়া লেখার জন্য ক্ষতিকর।
————————————————————————————————
ফোন করার নিয়মাবলী
আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নাম্বারে ফোন করতে পারবেন।
ঘুম অথবা বিশ্রামের সময় ফোন কিংবা কোন প্রকার যোগাযোগ করা যাবে না।
ফোনে কথা বলার সময় এমন কিছু বলা থেকে বিরত থাকবেন যাতে ছাত্রদের মানসিক পরিবর্তন না আসে।
ঘন-ঘন ছাত্রকে ফোন করা ছাত্রের পড়া লেখার জন্য ক্ষতিকর।
লেখা চলমান—–